ইভ্যালি’র সিইও ও চেয়ারম্যান গ্রেফতার

সিলেট নিউজ বিডি ডেস্কঃ বাংলাদেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে আটক করেছে র‍্যাব।শামীমা নাসরিন ইভ্যালির চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। এর আগে বুধবার রাতে তাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকার গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করেন একজন গ্রাহক। অভিযানের পর র‍্যাব ইন্টেলিজেন্স-এর প্রধান খায়রুল ইসলাম এ দুজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মি. রাসেলের মোহাম্মদপুরের বাড়িতে র‍্যাব অভিযান চালায়। তার আগে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বাড়িটি ঘিরে রাখে র‍্যাব সদস্যরা।বিকেল সোয়া ৫ টার দিকে মি. রাসেলকে র‍্যাবের একটি গাড়িতে করে নিয়ে যেতে দেখা যায়। বাংলাদেশের একাধিক টিভি চ্যানেল সেই দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করে। এর আগে এ বছরের ২৫শে অগাস্ট সিরাজগঞ্জেও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর জুলাই মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছিল প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে অগ্রীম যে টাকা নিয়েছে তার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে না।

এর আগে এ বছরের জানুয়ারি মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের একটি প্রতিবেদনে উঠে আসে যে পণ্য বেচাকেনার ক্ষেত্রে ইভ্যালি আইন ভঙ্গ করেছে। এর পর জুন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি তদন্ত দল ইভ্যালির কার্যক্রমের কিছু অনিয়ম চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দাখিল করে। এর পরদিনই বেশ কয়েকটি ব্যাংক ইভ্যালিসহ আরো কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার ভিত্তিতে সেসব প্রতিষ্ঠানের সাথে লেনদেন বাতিল করে।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে দুদকসহ বিভিন্ন সংস্থা যখন নানা অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে, তখন আগাম টাকা দিয়েছেন এমন গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহ পাওয়ার ব্যাপারে নতুন করে উদ্বেগ বা সংকট তৈরি হয়েছে। গ্রাহকদের অনেকে অভিযোগ করেছেন, ইভ্যালির সাথে যোগাযোগ করে কোন সাড়া মিলছে না এবং তারা প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় বন্ধ পাচ্ছেন। এসব অভিযোগ ওঠার পর ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলকে প্রায়সময়ই ফেসবুক লাইভে এসে গ্রাহকদের আস্বস্ত করার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। এর আগে ইভ্যালির চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ইভ্যালিতে গ্রোসারি আইটেম, খাবার, বাইক, মোবাইল, টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিন, এসি, ফ্রিজের মতো হোম অ্যাপ্লায়েন্স ও ফ্যাশন আইটেম বেশি বিক্রি করা হত। ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল দেশে ইভ্যালির ৪০ লক্ষের বেশি নিবন্ধিত গ্রাহক বা ক্রেতা রয়েছেন।