সাংবাদিক মামুনের বাসায় চুরি,নিয়ে গেছে নগদ টাকা,মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার

সিলেট নিউজ বিডি ডেস্কঃ বিয়ানীবাজার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে প্রবাসী সাংবাদিক মামুনের বাসায় দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। চোরেরা বাসার পিছনের জানালার গ্রীল কেটে ঘরে প্রবেশ করে নগদ টাকা,মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। পৌর এলাকায় এরকমের একটি চুরির ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে আতংক বিরাজ করছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৯ই সেপ্টেম্বর) রাতে দোকান থেকে বাসায় আসেন সাংবাদিক মোঃ মামুনুর রশীদ এর ছোট ভাই মোঃ আমিনুর রশীদ রাতের খাবার খেয়ে পাশের রুমে বউ-বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর সকাল আনুমানিক ৮ টার দিকে আমিনুর রশীদ এর স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে দেখেন ভিতরের রুমের দরজা বন্ধ। স্বামীকে ডেকে বলেন দরজা খুলতে পারতেছি না। পরে আমিনুর রশীদ দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে ভিতরে ঢুকে দেখেন পানির ফিল্টার দিয়ে ভিতর থেকে চাপ দিয়ে দরজা আটকে রাখা হয়েছে। বাসার পূর্বের জানালার গ্রীল কাটা ও জিনিসপত্র তছনছ।রুমের ভিতরে মোবাইলের সিম কার্ড পড়া। বাসার বাহিরে গিয়ে পাওয়া যায় স্বর্ণ অলংকার এর বক্সগুলো খালি পড়া। রুমের আলমীরার দরজা খোলা।

আলমীরা থেকে নগদ ২৭ হাজর ৫ শত টাকা। ৫টি মোবাইল,স্বর্ণালংকার ৫ তোলা আট আনা,বিয়ের গলার হার,২টি চেইন,তিনটি হাতের ব্রেসলেইট ও তিনটি আংটি নিয়ে যায়।
পরে দেশ থেকে সাংবাদিক মামুনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। জানানোর সাথে সাথেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে বিয়ানীবাজার থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

আমিনুর রশীদ জানান, আমার বাসা চুরি হয়েছে জেনে পরে অনেকেই দেখতে এসেছেন। আমার এক প্রতিবেশী বলেন,
আমি জেনেছি তিন চার দিন আগে রাত আনুমানিক ১২ টার সময় আমার বাসার গেইটের সামনে একটি সিএনজি দাঁড়িয়ে ছিলো। সিএনজির বাহিরে গেইটের সামনে দুইজন লোক দাঁড়িয়ে ছিলো। আমাকে যিনি এ কথা বলেছেন,তিনি মনে করেছিলেন আমার বাসায় কোন আত্মীয় এসেছেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। চুরি ঘটনা উদঘাটনের ব্যাপারে তৎপরতা অব্যাহত আছে।