সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের বড় ইসবপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালিকের পুত্র দরিদ্র কৃষক আঙ্গুর মিয়া।বর্গা চাষ করেই চলে তার সংসার।কিন্তু নির্বাচনী বিরোধকে কেন্দ্র করে বিগত মার্চ মাসে তার চাষ করা ৭৫ শতাংশ জমির ধান জোর পূর্বক কেটে নেন একই গ্রামের মৃত সোয়াব উল্যার পুত্র এবং ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও ইউপি মেম্বার আব্দুল মুকিতের ভাই আলা মিয়া ও তার সহযোগীরা।ধান কাটার সময় হাতে নাতে ধরা পড়া এবং সাক্ষি সাবুদ থাকার পরও এলাকার জন প্রতিনিধি থেকে শুরু করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দ্বারস্থ হয়েও আজ পর্যন্ত বিচার পাননি আঙ্গুর মিয়া।এদিকে মামলা করার মতন সংগতি নেই তার।ফলে জোরপূর্বক জমির ধান কেটে নেয়া, ধানের চারা নস্ট এবং হয়রানীর কথা উল্লেখ করে বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ তুলে ধরেছেন তিনি।
অভিযোগে তিনি বলেছেন, তাকে আর চাষ করতে না দেয়ার হুমকী ধমকিতে তিনি নিরাপত্তার অভাবে ভয় আতঙ্কে চাষাবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না। ভেবেছিলেন রবি মৌসুমে টমেটো চাষ করে দু’ পয়সা আয় রোজগার করবেন।পরিবার পরিজন নিয়ে কোন রকমে দিন যাপন করবেন কিন্তু প্রতিপক্ষ যদি টমেটো নষ্ট করে দেয় এই ভয় আতঙ্কে সেই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে তার।
আঙ্গুর মিয়ার ভাষ্য মতে,বিগত ইউপি নির্বাচনে ৮নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য আব্দুল মুকিদ তাকে ভোট দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু আঙ্গুর মিয়া অপর প্রার্থী ভোট দেবেন বলে জানান।মেম্বার আব্দুল মুকিদ নির্বাচনের পর থেকেই আঙ্গুর মিয়াকে শিক্ষা দেয়ার হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিলেন।শুধু তিনি নন আব্দুল মুকিদ বিজয়ী হওয়ার পর থেকে গ্রামে অশান্তির ছায়া গ্রাস করে। প্রতিদিনই গ্রামের নিরীহ কৃষকদের হামলা মামলাসহ নানা ধরণের নির্যাতনের স্বীকার হতে হচ্ছে। আব্দুল মুকিদ বিজয়ী হওয়ার পর থেকে তার ভাই এবং সহযোগীরা গ্রামে অশান্তি সৃষ্টি করে শালীশের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরী করে নিরীহ মানুষদের উপর নির্যাতন করে আসছেন এ সকল অভিযোগ আঙ্গুর মিয়ার।
আঙ্গুর মিয়া বলেন,আমার ৭৫ শতাংশ ধান আলা মিয়া ও তার সহযোগীরা জোর পূর্বক কেটে নেয়ার সময় গ্রামবাসিদের অনেকেই দেখেছেন। আমি প্রথমে তার ভাই আব্দুল মুকিদের কাছে বিচার প্রার্থী হই।কিন্তু তিনি এসব কথা শুনতে রাজী নন বলে জানান।
প্রথম দফা কাটার ১৬ দিন পর পুনরায় ইউপি সদস্য আব্দুল মুকিদের ভাই আলা মিয়াসহ তার সহযোগীরা বাকি ধান কেটে নিচ্ছে এমন খবর পেয়ে আমি জমিতে গিয়ে দেখি আমার চাষকৃত সকল ধান পাকার আগেই তারা কেটে ফেলছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একই গ্রামের হেলাল চৌধুরী, আব্দুল মুতলিব, জুনেদ মিয়াসহ অনেকেই জোরপূর্বক ধান কেটে নেয়ার দৃশ্য দেখেন। আমি বাধা দিলে আলা মিয়া ও তার সহযোগীরা আমাকে দেশীয় অস্ত্রসন্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পিঠিয়ে আহত করে কাটা ধান জোরপূর্বক নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে গ্রামের প্রবীন মুরব্বারীরা বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে আমি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসি। পরে গ্রামের প্রবীণরা বিষয়টি সামধানের চেষ্টা করলে ইউপি সদস্য মুকিদ মিয়া ও তার ভাই কারো কথা না শোনায় আমাকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের স্বরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন মোরব্বিয়ানরা। এরপর চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়ার কাছে মৌখিক অভিযোগ দিলে তিনি আমার শরীরের জখমকৃত স্থান ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ছবি মোবাইল ফোনে তুলে রাখেন। এসময় তিনি ইউপি সচিব মারতী নন্দন ধামকে নির্দেশ দেন ইউপি সদস্য আব্দুল মুকিদকে বিষয়টি জানাতে এবং তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুষ্ঠ বিচার করতে। ঘটনা জানার পর ইউপি সদস্য মুকিদ ও তার ভাই আলামিয়াসহ তাদের সহযোগীরা আমার বাড়ির সামনে এসে চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে নালিশ কেন করলাম এর কারণ জানতে চায় এবং এই বিষয়ে বারাবাড়ি না করে ঘরে বসে থাকার হুমকি দেয়। এসময় তারা বলে যদি এই বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করি তাহলে আমার পরিবারে কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবে না। তাদের এরূপ হুমকির বিষয়টি আমি পুনরায় চেয়ারম্যান সাহেবকে জানালে তিনি আমার কাছে আরো ২/৪ দিনের সময় চান এবং বলেন, বিষয়টি পরিষদের সদস্যদের নিয়ে সমাধান করা হবে। ৫/৬ দিন অতিবাহিত হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জানতে পাই ইউপি চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্যে চলে গেছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দ্বায়িত্বে রযেছেন ইউপি সদস্য মাহফুজুল হক আখলু। আমি উনার কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আমাকে বলেন, এসব বিষয় চেয়ারম্যান সাহেব উনাকে বুঝিয়ে দেননি। বাড়িতে এসে চেয়ারম্যান সাহেবের দেশে আসার অপক্ষোয় থাকলেও প্রতিদিন ইউপি সদস্য মুকিদ, আলা মিয়াসহ সহযোগীরা আমার বাড়িতে এসে আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। বাড়িতে এসে তাদের হুমকি দেয়ার কথা কেন আবারও চেয়ারম্যানকে জানালাম এমন প্রশ্ন করে এবং আমার পরিবারের নারীদের উদ্দেশ্য নানা ধরণের হুমকি ও অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে। নারীদের আত্মসম্মানের বিষয়টি নজরে রেখে এবং এরূপ ঘটনা থেকে পরিত্রান পেতে আমি ১৫ মে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও অজ্ঞাত কারণে দিন ক্ষেপন হতে থাকে,আর অভিযুক্তদের নির্যাতনের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। লিখিত অভিযোগ দিলেও দেড় মাস পর ২০ জুলাই অভিযোগের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়। শোনানীর আগের দিন ১৯ জুলাই ইউপি সদস্য আব্দুল মুকিদ উপজেলা পরিষদে গিয়ে এক সপ্তাহের সময় চান। বিষয়টি আমাকে জানানোও হয়। পরদিন ২০ জুলাই রাত সাড়ে ১০টায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইউপি সদস্য মুকিদ,আলা মিয়াসহ কয়েকেজন আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়। আমি কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ফেরার পথে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায় তারা। তখন আমি দেখেতে পাই ইউপি সদস্য আব্দুল মুকিদের হাতে ঝাটা ও আলা মিয়ার মাথায় গামছা দিয়া বাধা এবং হাতে রামদা নিয়ে আমাকে লক্ষ করে তেড়ে আসছে। এই দৃশ্য দেখে আমি প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালিয়ে বাড়িতে যাই। আমার আর্ত চিৎকারে বাড়ির লোকজন বের হলে তারা দেখেন কয়েকজন ব্যক্তি দেশীয় অন্ত্রসস্ত্র নিয়ে বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে আছে। বাড়ির লোকজন এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পর ২৩ জুলাই আমার এবং আমার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে ওসমানীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করি এবং মৌখিক ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে হামলার বিষয়টি অবিহিত করি। পরবর্তীতে ৩ আগস্ট পুনারায় অভিযোগের শুনানির জন্য আমাকে ডাকা হয়। আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হয়ে জানতে পারি ওই তারিখে অভিযোগের শুনানি হবে না। ইউপি সদস্য মুকিদ মিয়াকে শুনানি না হওয়ার বিষয়টি জানালেও আমাদের জানানো হয়নি। আমরা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের না জানানোর কারণে দুঃখ প্রকাশ করে আমাদের বক্তব্যও শুনেন। পরে ৭ আগস্ট পুনারায় শুনানির দিন ধার্য করা হয়। ধার্যকৃত তারিখে আমরা এবং প্রতিপক্ষ উপস্থিত হই। তখন মুকিদ মিয়া,আলা মিয়াও তাদের পক্ষে লিটন মিয়া ও আনছার মিয়াসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। আলা মিয়ার বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি ধান চুরি করেননি! ঘাষ কেটে নিয়েছেন। তবে, উপস্থিত দুই পক্ষের একাধিক স্বাক্ষী ধান কেটে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বক্তব্য প্রদান কালে লিটন মিয়া ও আনছার মিয়া তাদের বক্তব্যে বলেন, মুকিদ মিয়া তাদের জানিয়েছেন ক্ষতিপূরণ দিয়ে দিবেন। কিন্তু সেই বিষয়টি লিটন মিয়া ও আনছার মিয়া কেউই আমাদের আগে জানান নাই। ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিষয়টি সমাধানে এগিয়ে আসলেও নির্বাহী কর্মকর্তা দুই পক্ষের মুরব্বীদের বিষয়টি সমাধান করে দেয়ার প্রস্তাব দিলে উপস্থিত সকলেই নির্বাহী কর্মকর্তাকে সমাধানের করার জন্য অনুরোধ করেন। তখন নির্বাহী কর্মকর্তা সময় ক্ষেপন হওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতও পরিচালনা করা সম্ভব নয় বলে জানান। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার টেবিলেই অভিযোগ আটকা ছিলো প্রায় ৩ মাস। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের জানান, আপনারা এই বিষয়ে থানা অথবা কোর্টে মামলা করতে পারেন। কিন্তু আমরা গরিব মানুষ মামলা কুলিয়ে নিতে অপরাগতা প্রকাশ করি। পরবর্তীতে শুনানির নথী চেয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করলে তিনি বলেন,এটা দেয়া সম্ভব নয়। এরপর থেকে মুকিদ মিয়া ও আলা মিয়ার নির্যাতনের পরিমান আরো বৃদ্ধি পায়। তারা নানাভাবে বলে বেড়াচ্ছে প্রশাসনও তাদের কিছু করতে পারেনি তাদের কথায় গ্রামের সবাইকে চলতে হবে, নয়তো আঙ্গুর মিয়ার মতো অবস্থা করে ছাড়বে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ আগস্ট সকালে ৮টার দিকে আমি আমার রোপনকৃত আমন ধানের চারা দেখাশোনা করতে জমিতে গিয়ে দেখতে পাই কিছু ধানের চারা পা দিয়ে মুড়িয়ে এবং উপড়ে ফেলে দিচ্ছে ইউপি সদস্য আব্দুল মুকিদ ও তার ভাই আলা মিয়া। এসময় আমি তাদের দূর থেকে চিৎকার করে ধানের চারা নস্ট না করার জন্য বলেলেও তারা আমার কথায় কর্নপাত করেনি। কাছে গেলে তারা আমাকে নানা হুমকি ধামকি দিতে থাকে। আব্দুল মুকিদ বলে তুই আর জমিতে ধান চাষ করতে পারবে না। যতদিন আমি মেম্বার আছি ততদিন এলাকার কোন জমিতে চাষাবাদ করতে পারবে না। তুই এর আগেও একাধিকার আমার বিরুদ্ধে প্রশাসনসহ অনেক জায়গায় অভিযোগ করেছিস। কিছু করতে পেরছিস? পারবি না। যা আবার অভিযোগ দে, দেখি কে আমার কি করতে পারে। এই বলে তারা চলে যায়। আমি নিরুপায় হয়ে বসে থাকি। খবর পেয়ে উমরপুর ইউনিয়ন কৃষি অফিসার তপন কুমার ঘটনাস্থদ পরিদর্শন করেছেন। ওই জমিতে আমি আর নতুন করে চারা রোপন করার মতো অর্থ আমার কাছে নেই। এবং আমন ধানের চারা রোপনের সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। সুতরাং যে চারা নস্ট করা হয়েছে তা থেকে আনুমানিক ৩-৪ মন ধান উৎপাদিত হত। সব মিলিয়ে ইউপি সদস্য মুকিদ আমার ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে।
উপরোক্ত কথাগুলো জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া অভিযোগ পত্রে আঙ্গুর মিয়া উল্লেখ করেন।এদিকে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে এলাকার ঘটনা সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ যারা সেদিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে উপস্থিত ছিলেন তাদের কয়েকজনের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়।
এদের মধ্যে আব্দুল মুকিদের চাচাতো ভাই গৌস মিয়া একজন,তিনি জানান, আঙ্গুর মিয়া গ্রামের নীরিহ কৃষক।সে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।আমার দেখামতে তার ধান কেটে নেওয়া হয়েছে।
গপ্পার শিকদার নামের গ্রামের আরেকজন গন্যমান্য ব্যাক্তি আঙ্গুর মিয়াকে নীরিহ কৃষক উল্লেখ করে বলেন,বর্গা চাষ করে পরিবার চালায় আঙ্গুর মিয়া।সে অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।ঘুরতে ঘুরতে কোন সুরাহা না পেয়ে সে হয়তো বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসক পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে ইউপি মেম্বার আব্দুল মুকিদের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, বিগত ইউপি নির্বাচন থেকে আঙ্গুর মিয়া নানাভাবে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছেন।তিনি বলেন সে নিজেই তার ধান পা দিয়ে গুড়িয়ে আমার ও আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।নিজের ধান নিজে কেনো গুড়াবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,তার উদ্দেশ্য আমাকে ছোট করা।
এ ব্যাপারে ওসমানী নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা রায়হানা’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেছিলাম আঙ্গুর মিয়ার বিষয়টি সমাধান করে দেয়ার জন্য। চেয়ারম্যান সাহেব বেশ কিছুদিন বিদেশে থেকে বর্তমানে দেশে ফিরেছেন।ফেরার পর আঙ্গুর মিয়াকে বলেছিলাম চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে যোগাযোগ করার জন্য। কিন্তু তিনি আর সেখানে না গিয়ে শুনেছি জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ করেছেন।সেই অভিযোগের কপি আসলে দেখবো কি করা যায়।
এদিকে,আঙ্গুর মিয়া জানান, প্রতিপক্ষ তাকে আর চাষবাষ করতে দেবেনা মর্মে ক্রমাগত হুমকি ধমকি দিয়ে চলেছে।তার স্বপ্ন ছিলো রবি মৌসুমে টমেটো চাষ করার। কিন্তু করতে যাচ্ছেন না প্রতিপক্ষ যদি গুড়িয়ে দেয় এই ভয়ে। আদালতের শরনাপন্ন হতে পারছেন না আর্থিক সংগতি নেই বলে।তাই পরিবার নিয়ে কিভাবে অনাগত দিন পাড়ি দেবেন এ নিয়েই ভাবছেন অসহায় এই কৃষক।