হাকালুকি হাওরের ভাইরাল হওয়া বিরল জলের ঘূর্ণিটি আসলে যা ছিলো!

মস্তফা উদ্দিন, বড়লেখা: শনিবার সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে হঠাৎ করে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ হাওর হাকালুকির ওপর দিয়ে বয়ে যায় টর্নেডো। এসময় হাওরে থাকা মানুষ জন এমন দৃশ্য দেখে ভয়পেয়ে যায়। প্রথমবারের মত হাওর অঞ্চলের মানুষেরা টর্নেডো দেখে নিজ নিজ মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে। এসময় অনেকে লাইভ প্রচার করে। মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও টি ভাইরাল হয়ে যায় নেট দুনিয়ায়।

হাওরে সৃষ্ট এই জলের ঘূর্ণিটি মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জুড়ী থেকে দেখা যায়। প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে হাওরের পানি ঘূর্ণির সাথে ওপরে উঠে যেতে দেখতে পান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এসময় পানির প্রবাহ দূর থেকেও টের পাওয়া যাচ্ছিল। ঘূর্ণিটি অল্প সময়ে ভেঙে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার আগমুহূর্তে হঠাৎ দেখতে পান হাওরের ওপরের আকাশ থেকে হাতির শুঁড়ের মতো কিছু একটা হাওরের মাঝখানে নেমে পড়ছে। এরপরই শুরু হয় তুফান আর বৃষ্টি। হাওর এলাকার বাসিন্দারা এসময় খুব ভয়পান।

হাওর এলাকার বাসিন্দা রাসেল আহমদ ও সোনাম উদ্দিন বলেন, বেশ কয়েকবছর আগে হাকালুকি হাওরে এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছিল বলে শুনেছি। এরপর এমন ঘটনা আজ দেখলাম।

বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, টর্নেডোয় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে অন্ধকার হয়ে বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যার পর কয়েক মিনিট স্থায়ী ছিল এ টর্নেডো।

ইন্টারনেটে পাওয়া বিভিন্ন জার্নালের তথ্য বলছে, ওয়াটারস্পাউট বা জলের ঘূর্ণি সাধারণ টর্নেডোর মতোই। এটা জলভাগের ওপর তৈরি হয়। যখন শীতল বাতাস উষ্ণ বাতাসের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন সেটি পানির একটি ঘূর্ণায়মান স্তম্ভ তৈরি করে। একেই জলের ঘূর্ণি বলা হয়।