ওসমানীনগরে খাদিমপুর-পরাগলপুর রাস্তা সংস্কার কাজে অনিয়ম

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ প্রতিষ্ঠান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) আওতায় দেশের জেলা-উপজেলায় রাস্তা নির্মাণ, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী তথা ইট, খোয়া ও পাথর ব্যবহার এবং যেনতেনভাবে কার্পেটিং, সঠিক পরিমাণ বিটুমিন ব্যবহার না করার কারণে রাস্তা নির্মিত হওয়ার অল্প দিনের মধ্যেই তা নষ্ট হয়ে যায়।এমনকি এক পাাশ দিয়ে রাস্তা পাকাকরণ হচ্ছে, অন্য পাশ দিয়ে কার্পেটিং চটা ধরে উঠে যাওয়ার ঘটনাও ভুরি ভুরি। সরকার পর্যাপ্ত টাকা দিলেও এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার-ঠিকাদারের রাস্তা সংস্কারে অনিয়ম করছেন এমন ও শুনা যায়। ওসমানীনগরে পুরাতন সড়কের কার্পেটিং ভেঙ্গে কংকিটের সাথে মিম্রিত করে চলছে সড়ক পাকাকরণের কাজ ।

উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর শনির বাজার হইতে পরাগলপুর সড়কের ৩১৫০ মিটার সড়ক পাকা করন কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।রাস্তার পুরাতন কাপেটিং তুলে ফেলে দিলে সেই গুলা গ্রামবাসি নিয়ে গেলে,পরে আবার ইউনিয়নে চৌকিদার মাধ্যমে সেগুলো উদ্ধার করে নিয়ে আসে হয় এবং সেই ফেলে দেওয়া পুরাতন কাপেটিং গুড়া করে মেকাডমের কাজে ব্যবহার করা হয়। কাজে অনিয়ম হওয়াতে এলাকাবাসীর মধ্য চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।


তাদের দাবি নিম্ন মানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে তড়িঘড়ি করে সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। ওসমানীনগর উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর শনির বাজার পয়েন্ট হতে পরাগলপুর হয়ে তাজপুর রাস্তা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলো: মিটার সড়ক পাকা করনের কাজ পায় হবিগঞ্জের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। কাজটি পাওয়ার পর তারা সড়কটির পুরাতন কার্পেটিং তুলে তার সাথে নিম্ন মানের কংক্রিট দিয়ে রাস্তা মেকাডম এর কাজ করে চলেছে । এদিকে পাকা করনের সময় সড়কটির সাইডের কোন স্থানে এজিং এর কাজ না করে তড়িগড়ি করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তারা । এ নিয়ে এলাকার সচেতন মানুষের মধ্যে নানা জল্পনা কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে ।

তাদের দাবী ,এই সড়ক দিয়ে ওসমানীনগর উপজেলা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষ আসা যাওয়া করে। এই সড়কটির নির্মান কাজ ভালো না হওয়ায় সহজেই তা ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উক্ত রাস্তা দিয়ে পরাগলপুর সহ ১৭/১৮ টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ও গাড়ি আসা যাওয়া করে । জনগুরুত্ব পূর্ন এ সড়কে নিম্ন মানের কাজ করা হয়েছে। ফলে সড়কটি অল্প দিনে ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এলজিইডির আওতায় সিটি করপোরেশন বাদে দেশের জেলা-উপজেলায় গ্রামীণ রাস্তা ও অবকাঠামো উন্নয়ন হয়ে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে এলজিইডির সড়কের বেহাল দশার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বন্যা, নিম্নমানের কাজ ও নির্মাণ উপকরণ, অনিয়ম-দুর্নীতি, অদক্ষ ঠিকাদার, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। এলাকাবাসী স্তানীয় এলজিইডির কর্মকর্তাদের প্রতি অভিযোগ করে জানান, ঠিকাদারের সঙ্গে তাদের যোগসাজস আছে। ঝুলানো হয়নি কোনো কার্যতালিকার (ওয়ার্ক অর্ডার) সাইনবোর্ড।সরকার পর্যাপ্ত টাকা দিলেও এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার-ঠিকাদারের রাস্তা সংস্কারে অনিয়ম করছেন বলে জানান এলাকার সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল আহমেদ জানান ঐ এলাকা থেকে আমার কাছে কয়েকজন মানুষ অভিযোগ করেন যে রাস্তা আগের যে মাপে ছিলো সে মাপ থেকে রাস্তা এখন চোট করে কাজ করছে আর গাডওয়াল দেওয়া হয়েছে সে গাডওয়ালের নিছ থেকে মাটি এনে বড়াট করছে।

তিনি জানান আরো বলেন রাস্তা যখন সংস্কার কাজ শুরু হয় পুরাতন কার্পেটি ভাংগা শুরু করে এলাকার মানুষ কারপেটের টুকরো টাকরো তাদের বাড়িতে নিয়ে গেছিলো কিন্তু ঠিকাদার এ ওসমানীনগর নির্বাহী অফিসার ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে তারা করার্পেটিং এর মাল গুলা এনে আবার সেই রাস্তায় কাজে লাগিয়েছে।
মেরামতের নামে নয়-ছয় ইট ব্যবহার করে রাস্তা করলে তা ৬ মাসও টিকবে না। তাই তারা এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টিগোচর করছেন। দরকার হয়ে নতুন করে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
এ ব্যাপারে উমরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ দবির আহমদ জানান, জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের সুবিধার্তে কোটি কোটি টাকা দিচ্ছেন রাস্তাঘাটের মান উন্নয়ন করতে। সেখানে দুই নম্বর কাজ তারা কখনই মেনে নেবেন না।
এব্যাপারে উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা এসএম আল মামুন বলেন, এটা সিলেট এক্সেঞ্জ থেকে তদারকি করা হচ্ছে। এলাকার জনপ্রতিনিধিদের ফোনে এলাকার জনসাধারনের নেওয়া পুরানো কর্পেটিং আমরা এনেছি। পুরানো কার্পেটিং রাস্তার কিছু অংশে দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে।
এব্যাপারে সিলেট সড়ক ও জনপদের সহকারী প্রকৌশলী(ইজিপি) আবরার জাহিন শ্রেষ্ট বলেন, এ বিষয়টি স্থানীয় উপজেলা প্রকৌশলী তদরকি করার দ্বায়িত্ব রয়েছে।
স্থানীয় উপজেলা প্রকৌশলীর দায়সারা বক্তব্যর প্রশ্নে তিনি বলেন বিষয়টি আমি দেখছি।
এব্যাপারে সিলেট সড়ক ও জনপদের নির্বহি প্রকৌশলী ইনামুল কবির বলেন, আমি সরজমিন এসে দেখবো। হবিগঞ্জে ঠিকাদার জায়েদ এর কাছে কাজে অনিয়মে ব্যাপারে জানতে চাইলে উনি স্থানীয় ইউ/পি চেয়ারম্যান ও উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার সাথে কথা বলার জন্য বলেন।