বিয়ানীবাজার থানার ওসির বিরুদ্ধে ফেইসবুকে মিথ্যা অপপ্রচার

নিজস্ব প্রতিবেদক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিয়ানিবাজার থানার ওসি অবনী শংকর কর ও এস আই সুরন্জিত দাসের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত (২৮ জুলাই) বিয়ানীবাজারে জনতা ও পুলিশের হাতে ৫ গরু চুর গ্রেফতার ও গরু উদ্ধারের ঘটনায় গরুর মালিকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বলে গত(২৯জুলাই) আহমেদ মোস্তাক (Ahmed mustaque) নামে একটি ফেইসবুক আইডি থেকে বিয়ানীবাজারে গরু চুরি এবং অবনী শংকর,এসআই সুরন্জিতদের রমরমা ব্যবসা!। শিরোনামে প্রচার করা হয়। যা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।

৩০ই জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে বিয়ানী বাজার থানার ওসি অবনী শংকর কর ও এস আই সুরন্জিত দাস সিলেট নিউজ বিডি ডট কমকে এ তথ্য জানান ও পুরো ঘটনার ব্যাখ্যা দেন।

তিনি জানান,গত ২৮ জুলাই বিয়ানীবাজারে পাতন এলাকায় জনতার হাতে চার গরুচুর ধরাপড়ে।খবর পেয়ে থানার এস আই সুরন্জিত দাস সাথে ফোর্স নিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে একটি ষাড়ঁ গরু সহ একটি গাড়ী থানায় নিয়ে আসেন। চোরদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পৌরসভার নিদনপুর এলাকার মৃত শফিক উদ্দিনের বাড়ির কেয়ারটেকার কালা মিয়ার হেফাজত হইতে আরও ৪টি গরু উদ্ধার করে। এসময় কালা মিয়া পুলিশের উপস্হিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত ৫টি গরুর মধ্যে পাতন এলাকার মিনহাজ হোসেনের একটি ষাড় ও বড়লেখা থানার গল্লাসাঙ্গন এলাকার আলতাফ হোসেনের একটি গাভী ছিল। অপর গরুর মালিক তখন পাওয়া যায়নি।পরে বাকি তিনটি গরুর পরিচয় শনাক্ত করতে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য আহবান জানানো হয়। পরে আলতাফ হোসেন বড়লেখা থানায় গরু চুরির মামলা দায়ের করলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ইয়াকুব হোসেন বিয়ানীবাজার থানা থেকে গাভীটি বড়লেখা থানায় নিয়ে যান এবং কানাইঘাট থানার এস আই সবুজ কুমার নাইডু দুটি গরু নিয়ে যান। অপর দুটি গরুর মধ্যে পাতনের মিনহাজ হোসেন গরু চুরি মামলা দায়ের করে নিজ জিম্মায় ষাড়টি নিয়ে যান এবং বড়লেখা থানার মোহাম্মদ নগর এলাকার ইমাম উদ্দিনের একটি গরুর ও তার পরিচয় শনাক্ত করে থানা থেকে গরুটির নিয়ে যান।

কিন্তু গত (২৯ জুলাই) আহমেদ মোস্তাক(Ahmed mustaque) নামে একটি ফেইসবুক আইডি থেকে “বিয়ানীবাজারে গরু চুরি এবং অবনী শংকর,এসআই সুরন্জিতদের রমরমা ব্যবসা! শিরোনামে অপপ্রচার করা হয়। থানা থেকে থানায় মামলার মাধ্যমে গরুগুলো হস্হান্তর করা হল। টাকা পয়সার লেনদেন কার সাথে করা হল। এ নিয়ে পুলিশ হতভম্ব।

এমন মিথ্যা বানোয়াট তথ্য কিংবা গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কিভাবে ছড়ানো হল। যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এছাড়া, দেশের পুলিশ ডিপাটমেন্টকে সামাজিকভাবে বিতর্কিত করে মান কুন্ন্য করা হচ্ছে। যা পুলিশের চমলান মানবিক কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি কুচক্রী মহল এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।
বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণের জন্য।